ঢাকা, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ইং (দৈনিক দেশপ্রেম রিপোর্ট): দুর্নীতির ধারণা সূচকে দুই ধাপ পিছিয়ে ১৫১তম স্থানে অবস্থান করছে বাংলাদেশ। গত বছর বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৪৯তম। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের (টিআই) ‘দুর্নীতির ধারণা সূচক (সিপিআই) ২০২৪’-এর বৈশ্বিক প্রকাশ উপলক্ষে মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান। রাজধানীর ধানমন্ডিতে টিআইবি কার্যালয়ে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
টিআই সূচকে দুর্নীতির ধারণার মাত্রাকে ০ থেকে ১০০-এর স্কেলে নির্ধারণ করা হয়। ‘০’ স্কোরকে দুর্নীতির কারণে সর্বোচ্চ ক্ষতিগ্রস্ত এবং ‘১০০’ স্কোরকে দুর্নীতির কারণে সবচেয়ে কম ক্ষতিগ্রস্ত বা সর্বাধিক সুশাসিত বলে ধারণা করা হয়।
এবার ১০০ স্কোরের মধ্যে বাংলাদেশ পেয়েছে ২৩, যা গতবারের চেয়ে ১ পয়েন্ট কম। সমান স্কোর নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে একই অবস্থানে রয়েছে কঙ্গো ও ইরান।
বাংলাদেশ ২০১২ সালের পর এবার দুর্নীতি সূচকে সবচেয়ে কম স্কোর পেয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান ইফতেখারুজ্জামান। ভুটান ছাড়া দক্ষিণ এশিয়ার সব দেশের স্কোর কমেছে। দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের পর রয়েছে আফগানিস্থান। ৭২ স্কোর নিয়ে ভুটানের অবস্থান ১৮তম।
ইফতেখারুজ্জামান আরও জানান, বৈশ্বিক গড় ৪৩ থেকেও বাংলাদেশের স্কোর ২০ কম। এ কারণে অত্যন্ত গুরুতর দুর্নীতির সমস্যাযুক্ত ১০১টা দেশের মধ্যে বাংলাদেশ একটা।
তিনি বলেন, “কর্তৃত্বপরায়ণ স্বৈরশাসনের কারণে, দুর্নীতি প্রতিরোধের দায়িত্বে থাকা সস্থাগুলোতে রাজনৈতিক প্রভাব, দুর্নীতিবাজদের পুরস্কৃত করার কারণে সূচকে অবনমন হয়েছে।”
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ইফতেখার বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে দখলদারি চাঁদাবাজি বহাল রয়েছে, শুধু লোক বদল হয়েছে। দুদক বড় বড় দুর্নীতিবাজদের নিয়ে কাজ শুরু করেছে।”
সূচকের বিশ্লেষণ অনুযায়ী, ২০২৪ সালে বাংলাদেশের স্কোর গত ১৩ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। অর্থাৎ স্কোর বিবেচনায় বাংলাদেশের নিম্নমুখী যাত্রা সুস্পষ্ট। ২০১২ সাল থেকে সূচকে ব্যবহৃত ১০০ সেলে বাংলাদেশের স্কোর ২০২২ সাল পর্যন্ত ‘২৫ থেকে ২৮’-এর মধ্যে আবর্তিত হয়েছে। ২০২৩ সালে স্কোর এক পয়েন্ট অবনমন হয়ে ২৪ এবং ২০২৪-এ আরও এক পয়েন্ট অবনমন হয়ে ২৩ হয়েছে।
Leave a Reply